প্রিয় সুখবর,
তুমি হয়তো কখনো ভাবনি, ‘যে আমি সবার প্রিয়জনের চিঠি পৌঁছে দেই দ্বারে দ্বারে, তাকে নিয়েও কেউ চিঠি লিখবে!’ হ্যাঁ আমি লিখছি তোমাকে, তোমায় কৃতজ্ঞতা জানাতে।
এই আদ্যপান্ত মোড়ানো প্রযুক্তির যুগে এসেও তুমি হারিয়ে যাওয়া চিঠির ধারাবাহিকতা বহাল রেখেছো। ব্যস্ততার ভীড়ে প্রিয়জনদের যে কথাগুলো বলা হয়ে ওঠে না সেগুলো কলমের আঁচড়ে প্রকাশ করিয়ে ডাকবাক্স হয়ে পৌঁছে দাও সবার দ্বারে।
চিঠিতে যে অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করা যায় সেগুলো হয়তো বলা যায় না ফোন বা মেসেঞ্জারে। হয়তো কত চিঠি-অনুরাগী লিখতে বসে না ডাকে পাঠানোর সুযোগের অভাবে। তুমি সেই হারিয়ে যাওয়া ঐত্যিহ্যকে আবার ফিরিয়ে এনেছো রানার হয়ে। তোমার এই সুখবরগুলো পৌঁছাতে থাকো যুগের পর যুগ।
এক শুভাকাঙ্খীর হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে এই কামনা তোমার উদ্দেশে। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয়জনদের তরে অব্যক্ত কিছু কিছু অনুভূতি চিঠি রূপে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
সুখবর, রোজ তো তুমি দাও সুখবর, আজ না হয় আমিই দিলাম তোমায়।
—ইতি
তোমার
শুভাকাঙ্খী
আরো পড়ুন : প্রিয় ডায়েরী, তুমিই সেই বন্ধু যে আমার প্রতি ফোটা চোখের জলের হিসাব রাখো
এস/ আই. কে. জে/